ভেনেজুয়েলাবাসী
আম খেয়ে ক্ষুধা মিটাচ্ছে
চরম খাদ্য সংকটে পড়া ভেনেজুয়েলাবাসী মৌসুমি ফল বিশেষ করে আম খেয়ে ক্ষুধা নিবারণের চেষ্টা করছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য পড়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে ভেনেজুয়েলার অর্থনীতি চরম সংকটে পড়েছে।
সুপারমার্কেটগুলোর সামনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে কয়েকগুণ বেশি দামে সেখানে খাবারসহ নিত্য পণ্য কিনতে হচ্ছে।
সংকটের কারণে খাবার এবং নিত্যপণ্য এখন অধিকাংশ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।
ফলে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির লোকজন আম, নারকেল ও পেয়ারার মত মৌসুমী ফল খেয়ে বেঁচে থাকার নিরন্তর চেষ্টা চালাচ্ছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সেখানে শিশুদের সারাক্ষণই আমগাছের নিচে দাঁড়িয়ে পাথর ছুঁড়ে আম পাড়তে দেখা যাচ্ছে।
দুপুরের খাবারের বিরতির সময় বিভিন্ন কার্যালয়ের কর্মীরাও তাদের সঙ্গে যোগ দিতে শুরু করেছে।
কলম্বিয়া সীমান্তবর্তী শহর লা ফ্রিয়ার বাসিন্দা জুয়ানি জানাগা নামের ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীর মা মেয়রের কার্যালয়ে কাজ করতেন। গত মাসে তার চাকরি চলে যায়।
তারপর থেকে জানাগার বাড়িতে মাঝে মধ্যেই কোনও খাবার থাকে না।
সে বলে, “যখন ফ্রিজে কিছু থাকে না তখন আমি দুইটি আম পেড়ে খেয়ে নেই। আমে সামান্য কাজ হয়; এতে আপনার পেট কিছুটা ভরা মনে হবে।”
খাবারের দাবিতে গত সপ্তাহে সেখানে নারীরা বিক্ষোভ করেছে।
৫৮ বছর বয়সী গৃহিনী আইরিস গার্সিয়া বলেন, “এখন আমরা আর কিছুই ফেলি না, এমনকি আমের খোসাও না।”
জঙ্গলে ঘেরা রাজ্য বলিভারের বাসিন্দা আদরিয়ান ভেগা বলেন, “গত দুই দিন ধরে আমরা শুধু আম খেয়েছি।”
২৩ বছর বয়সী ওই শিক্ষার্থী আরো বলেন, “এবং পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, আমি আগামী আরও বেশ কয়েকদিন আমই খাব। কারণ, আমাদের কাছে খাবার জন্য এটা ছাড়া আর কিছু নেই।”
সুপারমার্কেটগুলোর সামনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে কয়েকগুণ বেশি দামে সেখানে খাবারসহ নিত্য পণ্য কিনতে হচ্ছে।
সংকটের কারণে খাবার এবং নিত্যপণ্য এখন অধিকাংশ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।
ফলে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির লোকজন আম, নারকেল ও পেয়ারার মত মৌসুমী ফল খেয়ে বেঁচে থাকার নিরন্তর চেষ্টা চালাচ্ছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সেখানে শিশুদের সারাক্ষণই আমগাছের নিচে দাঁড়িয়ে পাথর ছুঁড়ে আম পাড়তে দেখা যাচ্ছে।
দুপুরের খাবারের বিরতির সময় বিভিন্ন কার্যালয়ের কর্মীরাও তাদের সঙ্গে যোগ দিতে শুরু করেছে।
কলম্বিয়া সীমান্তবর্তী শহর লা ফ্রিয়ার বাসিন্দা জুয়ানি জানাগা নামের ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীর মা মেয়রের কার্যালয়ে কাজ করতেন। গত মাসে তার চাকরি চলে যায়।
তারপর থেকে জানাগার বাড়িতে মাঝে মধ্যেই কোনও খাবার থাকে না।
সে বলে, “যখন ফ্রিজে কিছু থাকে না তখন আমি দুইটি আম পেড়ে খেয়ে নেই। আমে সামান্য কাজ হয়; এতে আপনার পেট কিছুটা ভরা মনে হবে।”
খাবারের দাবিতে গত সপ্তাহে সেখানে নারীরা বিক্ষোভ করেছে।
৫৮ বছর বয়সী গৃহিনী আইরিস গার্সিয়া বলেন, “এখন আমরা আর কিছুই ফেলি না, এমনকি আমের খোসাও না।”
জঙ্গলে ঘেরা রাজ্য বলিভারের বাসিন্দা আদরিয়ান ভেগা বলেন, “গত দুই দিন ধরে আমরা শুধু আম খেয়েছি।”
২৩ বছর বয়সী ওই শিক্ষার্থী আরো বলেন, “এবং পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, আমি আগামী আরও বেশ কয়েকদিন আমই খাব। কারণ, আমাদের কাছে খাবার জন্য এটা ছাড়া আর কিছু নেই।”
No comments:
Post a Comment